২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৪ঃ শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বক্তৃতা – ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং আমার প্রিয় বন্ধুগণ সবাইকে শুভ সকাল মাতৃভাষা শব্দটি একটি শিশু সাধারণত বাবা-মায়ের কাছ থেকে বাড়িতে শেখে এমন ভাষাকে বোঝায়।
মাতৃভাষাকে প্রায়ই প্রথম ভাষা বা স্থানীয় ভাষা হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (মাতৃভাষা দিবস) প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে মাতৃভাষা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বহুভাষিকতার সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য
২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যঃ- আলোচনা শুরু করার প্রথমেই নিচের মত করে বলতে পারেন। আমরা আপনার সুবিধার্থে নিচে বর্ণনা করে দিয়েছি। আলোচনা শুরু করার আগে নিচের কিছু ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। এই ধাপ গুলো আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি এবং নিচে আলোচনা তুলে ধরেছি।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের টিপসঃ
- বক্তৃতার শুরুতেই শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে।
- বক্তৃতায় তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনা করতে হবে।
- বক্তৃতায় বিভিন্ন উদাহরণ ও প্রসঙ্গ তুলে ধরবেন।
- বক্তৃতার শেষে শ্রোতাদের মনে একটি ইতিবাচক বার্তা রেখে যাবেন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি একটি সফল বিজয় দিবসের বক্তৃতা প্রদান করতে পারবেন।
এবার শুরু করা যাক,
সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, উপস্থিত সুধিবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম।
আজকের এই আলোচনা সভায় “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জাতীয় জীবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে সালাম, বরকত, রফিক,
জব্বারসহ অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাংলা ভাষা আজ রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই দিনে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তাদের বুকের তাজা রক্তে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
এই দিনটি শুধুমাত্র একটি স্মৃতিচারণ বা শোক দিবস নয়, বরং এটি একটি অনুপ্রেরণা ও চেতনার দিন। এই দিনটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, মাতৃভাষার অধিকারের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।
এই দিনটি আমাদেরকে শেখায় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হলে কতটা সাহসী হতে হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, সকল ভাষারই সমান মর্যাদা রয়েছে। এই দিনটি আমাদেরকে শেখায় যে, ভাষার মাধ্যমেই আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বহন করি।
পরিশেষে বলতে চাই, একুশ হোক বিশ্বের সকল বিভেদ, সংঘাত ও অস্থিরতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।
হোক সমুদ্রের উত্তাল অন্ধকার রাতের আশার আলো। হোক সঠিক পথের দিশারী। সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি,আসসালামু আলাইকুম।
আরও একটি ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শুরু করা যাক,
আজকের দিনটি আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকার রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তরুণ ছাত্ররা।
পুলিশের লাঠি ও গুলির বর্ষণে নিহত হন বহু নিরপরাধ ছাত্র। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষার অধিকার। ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতিসত্ত্বার প্রতীক।
একুশের ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দিনটি আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার।
ভাষা আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য।
ভাষার মাধ্যমেই আমরা প্রকাশ করি আমাদের ভাবনা, আমাদের অনুভূতি।
আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে:
- আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করবো।
- আমরা আমাদের ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা বজায় রাখবো।
- আমরা আমাদের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবো।
একুশের চেতনা আমাদের হৃদয়ে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাবো সোনালী বাংলার লক্ষ্যে।
জয় বাংলা! ধন্যবাদ।