১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ওয়ালপেপার,এসএমএস,স্ট্যাটাস কালেকশন আসসালামু আলাইকুম ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশমাতৃকার জন্য বীর শহীদদের আত্মত্যাগের ফলস্বরূপ বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম হয়। মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব বোঝাতে এবং এর প্রভাব অনুভব করতে উক্তি, বাণী, ছন্দ, ও কবিতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই সাহিত্যকর্ম আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং চেতনাকে ধারণ করে।
১টি যুদ্ধ ৯টি মাস ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ ১ টি দেশমিনিং অফ ১৯৭১সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ওঅভিনন্দন বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে , দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস। আমি বিজয়ের গান গাই , আমি স্বাধীনতা কে চাই। আমি বিজয়ের পতাকা ধরে , সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই । মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। ১০ টি জনপ্রিয় বিজয় দিবস কবিতা
লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, পেয়েছি যে বিজয় নিশান। প্রয়োজনে আবার দেবো রক্ত ঠেলে , বজায় রাখতে বিজয়ের মান। মোদের দেহে থাকতে রক্ত , বৃথা যাবেনা শহীদদের দান। মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
একটি বাংলাদেশ তুমি… জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমারঅহংকার। সারা বিশ্বের বিস্ময় এইবাংলাদেশের জন্য আসুন আমরা সবাইমিলে কাজ করি। প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষবাংলাদেশ জীবন বাংলাদেশ আমারমরণ বাংলাদেশ…
আমাদের জীবন-মরণএই বাংলাদেশেরস্বাধীনতা দিবসে সবাইকে সুভেচ্ছা। তাদের রুহের মাগফিরাতকামনা করছি।শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি জাতিরশ্রেষ্ট সন্তানদের।
আজ ১৬ ই ডিসেম্বর।মহান বিজয় দিবস।সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা…১৯৭১ সালে যাদের মহান আত্নত্যাগেরবিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীনসার্বভৌম রাষ্ট্র, মহানস্বাধীনতা দিবসের এটাই হোক আমাদেরশপথ।সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যস্তেও তুমিও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমিও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি!!
১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কবিতা
বিজয় দিবস নিয়ে অনেক কবি অনুপ্রাণিত হয়ে কবিতা রচনা করেছেন। তাদের রচনায় উঠে এসেছে দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ, এবং বিজয়ের আনন্দ।
কবিতার অংশ:
“এ দেশ আমাদের, এ মাটি আমাদের,
রক্তে রাঙানো এই মাটি, সবুজের উজ্জ্বল।
বীর বাঙালির বিজয়, ইতিহাসে অমর,
১৬ ডিসেম্বর আসে, জ্বালিয়ে দেয় অন্তর।”
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা:
“বিজয় মানে শুধু স্বাধীনতা নয়,
বিজয় মানে ত্যাগ, সমর্পণ,
বিজয় মানে এক নতুন সূচনা।”
নির্মলেন্দু গুণের কবিতা:
“শহীদের রক্তে লেখা পতাকা,
স্বাধীনতার প্রতীক লাল-সবুজের।
১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়,
জাতির গৌরব চিরন্তন।”
১৬ ডিসেম্বর নিয়ে উক্তি
উক্তি হলো সেই শব্দমালা যা আমাদের চেতনার গভীরে প্রভাব ফেলে। বিজয় দিবস নিয়ে অনেক মনীষী, সাহিত্যিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অসাধারণ উক্তি উপস্থাপন করেছেন।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান:
“এই স্বাধীনতা আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত, এই স্বাধীনতা চিরজীবী হবে।” - তাজউদ্দীন আহমদ:
“আমাদের বিজয় ছিল ন্যায়বিচারের বিজয়; এটি একটি সংগ্রামের ইতিহাস, যা আজও গর্বের।” - জহির রায়হান:
“বাংলার মাটিতে বিজয়ের পতাকা উত্তোলিত হবে—এটি শুধু একটি স্বপ্ন নয়, এটি আমাদের সংগ্রামের অঙ্গীকার।” - কাজী নজরুল ইসলাম:
“আমরা যারা বাঙালি, আমাদের অন্তরে স্বাধীনতার শপথ চিরকাল বেঁচে থাকবে।”
১৬ ডিসেম্বর নিয়ে বাণী
বিজয় দিবসের বাণীগুলো আমাদের দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে এবং ঐতিহাসিক সত্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়।
- “শহীদের রক্তে ভেজা এই মাটি আমাদের অহংকার, এই বিজয় আমাদের চিরন্তন গৌরব।”
- “মহান বিজয়ের দিনটি শুধু আনন্দের নয়, এটি আত্মত্যাগ আর ঐক্যের প্রতীক।”
- “১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের একটি আলোকিত অধ্যায়, যা আমাদের স্বাধীনতার মূল ভিত্তি।”
- “বিজয় দিবস মানে ইতিহাসের চেতনায় নতুন করে জাতীয় ঐক্যের শপথ।”
যখন সুখ মানে,দেখছি অনাহারে কোটি মানুষের দিন কাটছে অনিদ্রায়
যখন স্বাধীনতা মানে,কোটি মানুষ কাঁদছে পরাধীনতায়
এ দেশ ভুল পথে বিকৃত,ভাঙ্গা হাতে লাঞ্ছিত,কৃষকের স্বপ্ন ধূসর,
বিবর্ণ যখন রাজনীতি মানে,হাজার প্রতিশ্রুতি,আর স্বপ্ন দিন বদলের
যেখানে গনতন্ত্র মানে রাজপথে ছুটে চলা নীল মার্সিডিস
যখন প্রতিবাদ মানে দাউ দাউ করে জ্বলছে মানুষের লাশ
যখন আন্দোলন মানে টকশোতে দুটো গালি শুনে,রাজনীতির মুন্ডুপাত
আর হাসি মুখে মেনে নেয়া শত অবিচার
যখন ক্ষণিকের দেশপ্রেম থেকে বিজয় মিছিল স্মৃতিসৌধে
আর প্রতিজ্ঞা,দেশকে ভালোবাসার
তখন চলুক,যেমন চলেছে………..
সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,
এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত, এই হোক অঙ্গীকার।
একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,
২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশলক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল বিসর্জন, অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করলো আত্মসমর্পণ। বীর বাঙালিদের কাছে তারা করেছিল শির অবনত,
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছে, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।
মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে!
জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষাণ বেঁধে বুকে।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা;
ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।
জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,
এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;
এত বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?
দূর করতে হবে বৈষম্য বিভাজন, চাই অর্থনৈতিক মুক্তি,
রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, আছে ষোল কোটি জনশক্তি।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত গৌরবময় এ বিজয়,
সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।
HAPPY VICTORY DAY
সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।।
বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল,
হয়েছে কাল, হয়েছে কাল।।
শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
নয়া বাংলার নয়া শ্মশান, নয়া শ্মশান।
আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল, শত্রু জাল।
এই বিজয়ের দিনে শীর্ষ রাজাকার গুলোকে যদি মীরপুর চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচায় ছেড়ে দেয়া যেতো , র কোটি কোটি বাঙালি খাঁচার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতো বাংলার বাঘের মতো সাহসী সন্তান দের হত্যাকারী দের নির্মম মৃত্যুর আনন্দ যজ্ঞ ।
জয় বাংলা, স্লোগানে ১৯৭১ এর বধ্যভূমি মীরপুরের বাতাস প্রকম্পিত হতো ,যার রেশ ছড়িয়ে পড়তো পুরা বাংলায় মিছিলে মিছিলে …। এই জীবনে র কোন সুন্দর দৃশ্য না দেখলেও কোন আফসোস থাকতো না । বিজয়ের শুভেচ্ছা সবাই কে তবে উদযাপন জমা থাকর এক বিজয়ের জন্য ।
বিজয় দিবস- ১৬ই ডিসেম্বর
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি দুঃখিনী মায়ের দুঃখ ভোলানো
সুখের হাসি,
তুমি ছেলে হারা পিতার
শোক কাটানো শ্যামল গাঁয়ের,
রাখাল ছেলের
দুঃখ সুরের বাঁশি ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি নিহত মুক্তিসেনার
কান্নাভেজা চোখে
চির প্রশান্তির পরশ,
তুমি শহীদ পিতার
ছোট্ট শিশুর
হৃদয় রাঙানো মুক্তি হরষ ।
১৬ ই ডিসেম্বর
তুমি বাঙালির অহংকার
তুমি কোটি জনতার,
বিজয় নিশান
স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি মহা বিজয়ের মহা উল্লাস
তুমি বিধবা মায়ের
বন্দী শ্বাসের শান্তির নিঃশ্বাস ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি অগ্নি গর্ভা বাংলার
লাখো শহীদের বুকের
রক্তেভেজা সুশীতল বিছানা,
যাদের ত্যাগের বিনিময়ে পেলাম
মা,মাটি,
দেশ চির শান্তির ঠিকনা।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি ১৬ কোটি মানুষের
চলার পথের উৎস প্রেরনার,
তুমি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা
প্রতিটি বাঙালির গর্ব
দুঃখ-সুখের অনুরণ স্বপ্নীল বাসনার ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি নও শুধু একটি তারিখ
নও একটি স্মৃতি চিহ্ন,
তুমি লাখো শহীদের রক্তের প্রতিক
তুমি চির বঞ্চিতের রনহুংকার,
আবার তুমিই দিয়েছ চির শান্তি
৩০ লক্ষ শহীদ আত্মার ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি একটি উজ্জ্বল নক্ষএ
বাংলা মায়ের আকাশ পাড়ে,
তোমার জন্যই আজি
বইছে আনন্দ, উল্লাস
স্নেহমাখা বাংলার হৃদয় জুড়ে ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি ৯ মাসের
বেদনায় মোড়া স্মৃতিকাতর
লৌহ কঠিন নির্মম অতীত,
তোমার কাছেই পেয়েছে শিক্ষা
বর্তমান প্রজন্ম,
পরাধীনতার শৃঙ্খল পেরিয়ে
কি করে ভাঙতে হয়
শোষণকারীর ভীত।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি রক্তস্নাত স্মৃতিসৌধ
বিশ্বের বিস্ময়,
ত্রিশ লক্ষ শহিদের ত্যাগে
আমরা করেছি জয়।
লাল সবুজ পতাকার চিহ্ন
বক্ষে করে ধারন,
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম
বাংলাদেশের মানচিএ
অটুট রাখতে
হাসিমুখে বিলিয়ে দেবে প্রাণ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি গৌরবদীপ্ত বিজয়ের
মঙ্গল বারতা,
তুমি স্নিগ্ধ কোমল
ছোট্ট শিশুর ইচ্ছেমতি খেলা
তুমি রক্তাক্ত বীরঙ্গনার
রক্তখচিত বিজয় নিশান স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা ।
১৬ই ডিসেম্বর
তুমি কৃষকের বুকে
শস্য-শ্যামল ফসলি জমির বেষ,
তুমি কৃষাণীর হাতে
মিষ্টি গন্ধে ভরা
মুঠো মুঠো সোনালী ধানের শীষ ।
তুমি আনন্দের,তুমি কান্নার
তুমি চির শান্তির
তুমি অগ্নিঝরা বিজয় উচ্ছ্বাস
১৬ কোটি বাঙালির
প্রানের উৎসব
বিজয় দিবস ।
এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান