এবছর হচ্ছে না বই উৎসব। তবে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাবে। ইতোমধ্যে দেশের ৩৪ জেলার ১৬২টি উপজেলায় প্রাথমিকের দেড় কোটি বই পৌঁছে গেছে। আরো দুই কোটি বই পথে রয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, অক্টোবরের ১৫ তারিখ থেকে বিভিন্ন জেলা উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে বই পৌঁছানো শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যদি বিদ্যালয় খোলা না হয় তারপরও শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বই পৌঁছে দেয়া হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রায় ৩৬ কোটি বই ছাপানো হবে।
তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় ১০ কোটি ৫৪ লাখ বই ছাপানো হবে। মাধ্যমিকের বই রয়েছে প্রায় ২৪ কোটি ৪১ লাখ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের বই ছাপানোর জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,
বিভিন্ন প্রেসের বেশকিছু বইয়ের কাগজ নিম্নমানের শনাক্ত হওয়ায় সেগুলো বাতিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এ কারণে প্রতিটি প্রেসের বইয়ের মান যাচাই-বাছাই করতে ডিপিই থেকে আলাদাভাবে তিন সদস্যের একটি করে টিম গঠন করা হবে।
তারা সার্বক্ষণিক বই ছাপানোর কাজ মনিটরিং করবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র সাহা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, অনেকে অল্প বই ছাপানোর কাজ পেয়েছে। অনেকে আবার বেশি। তবে বইয়ের মান নিয়ে কখনো ছাড় দেয় না এনসিটিবি। এজন্য তারা নিরলস কাজ করছে।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব উপজেলায় ৩৬ কোটি বই পৌঁছে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে দরপত্র চূড়ান্ত করতে দেরি হওয়ায় তাদের প্রেসে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে শ্রমিকদের।
একাধিক প্রেস মালিক জানান, দরপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত মানের কাগজ সংগ্রহ করা কিছুটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বেশি দামে হলেও কাগজ কিনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠ্যপুস্তকের কাজ শেষ করা হবে বলে তারা জানান।