ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নি হত্যার বিচার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ। বিবৃতিতে সারা দেশে নারীর ওপর চলমান সহিংসতা বন্ধের জন্য সরকারকে কঠোরতর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তার কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে তিন্নির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, তিন্নির বোন মিন্নির সাবেক স্বামী পাশবিক অত্যাচার করে তাকে হত্যা করেছে। ঘটনাটি রহস্যজনক দাবি করেছে প্রশাসন।
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মূল ঘটনা উদঘাটন হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে তিন্নির মা হালিমা খাতুন বাদী হয়ে শৈলকূপা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫-৬ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে শেখপাড়া গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে আমিরুল, খলিল শেখের ছেলে নাইম ও লাবিবসহ ৪ জনকে আটক করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি জামিরুল এখনও পলাতক রয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হল- জামিরুলের ভাই নজরুল, তন্ময়, মৃত নাজের শাহের ছেলে খলিল।অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
একই সঙ্গে বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। মানববন্ধনে ইবি ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী একাত্মতা পোষণ করেন।