শিক্ষকস্বল্পতায় ভুগছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায় থেকে নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রতপ্রণ কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সংস্থাটি শূন্যপদের শিক্ষকদের যে তালিকা পেয়েছে সেগুলো নির্ভুল করতে আরো যাচাই-বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তথ্যমতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৬ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক পদ শূন্য আছে। বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিকভাবে এসব শূন্যপদের তথ্য পেয়েছে এনটিআরসিএ।
এর আগে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে এনটিআরসিএর শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার থেকে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে তাদের।
এবার চতুর্থ ধাপে টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনলাইনে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো: এনামুল কাদের জানান, টেলিটক থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ৬৬ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত শূন্যপদের তথ্য এসেছে।
তবে, সে সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত নয়। শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সংশোধনে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ পাবেন। এরপর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা শূন্যপদের তথ্য যাচাই করে তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে দেবেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তা যাচাই করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় এডিট করে এনটিআরসিএতে পাঠাবেন। পরে আমরা তা অধিদফতরগুলোতে পাঠাবো। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর তথ্য ভ্যারিফাই করে দিলে তবেই শূন্যপদের তথ্য সংখ্যা সঠিক বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে এনটিআরসিএ থেকে এক নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শূন্যপদের তথ্য ভুল থাকলে প্রার্থী, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও এনটিআরসিএ সবাইকে বিপাকে পড়তে হয়। তাই এ তথ্য ঠিকভাবে দিতে পারলে অনেক জাটিলতা আর থাকবে না।
এনটিআরসিএ থেকে সর্বশেষ নির্দেশনায় বলা হয়, আজ থেকে শূন্যপদের তথ্য সংশোধন শুরু হচ্ছে। আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সংশোধন করার সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। আর ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য মাঠ পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন। এরপর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।